ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড | nid card download

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার যে পদ্ধতি নিচে তুলে ধরা হবে, সেই পদ্ধতি অনুসরন করে খুব সহজেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সহজ পদ্ধতি।

পেজ সূচিপত্র: ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড: ভূমিকা

বর্তমানে আপনি সরকারি-বেসরকারি যে কাজই করতে চান না কেন, অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে। আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড ব্যতীত আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না। 

তাই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে রাখলে আপনি যেকোনো সময় আপনার ডাউনলোডকৃত ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। কিভাবে খুব সহজেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন, সেই বিষয়ে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম।নিম্নবর্ণিত সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড - জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড

আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে চান, তাহলে আপনাকে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নিচে যে পদ্ধতি তুলে ধরা হবে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করলে অবশ্যই আপনি আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। 
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে এই ঠিকানায় (https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) প্রবেশ করতে হবে। এই ঠিকানায় প্রবেশ করার পরে, নিচের চিত্রের মত একটি ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে।
রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করতে হবে। রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে। নিচের চিত্রে যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেই তথ্যগুলো যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। 

উপরের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন যে প্রথম ঘরটিতে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার অথবা ফরমের নাম্বার সাবমিট করতে হবে। আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পেয়ে না থাকেন সেক্ষেত্রে, আপনি যখন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তথ্য প্রদান করেছেন, তখন আপনাকে একটি স্লিপ  দিয়েছে। 

আর সেই স্লিপ এর মধ্যে ফর্ম নাম্বার রয়েছে। সেই ফ্রম নম্বরটি বসাতে হবে। জোর করে জন্ম তারিখ দিয়ে সবশেষে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। ক্যাপচা পুরন করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে নিচের চিত্রের মত আরেকটি চিত্র আপনার সামনে উপস্থিত হবে।

এখানে আপনাকে বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে পূরণ করার পরে, সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। সাবমিট বাটনে ক্লিক করার আগে, সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তার একবার ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। 

কেননা ভুল হলে আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন না। সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত নতুন আরেকটি ইন্টারফেস ওপেন হয়ে যাবে। 
এখানে আপনাকে একটি ফোন নাম্বার প্রদান করতে হবে যে ফোন নাম্বারে আপনি এনআইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য পেতে চান। নাম্বারটি সঠিকভাবে প্রদান করলে সেই নাম্বারে একটি ওটিপি কোড আসবে সেই কোডটি আপনাকে পরবর্তীতে প্রদান করতে হবে। ফোন নাম্বারটি বসিয়ে "সেন্ড মেসেজ" এ ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে উপস্থিত হবে। 



আপনি যেই ফোন নাম্বার সাবমিট করেছেন, সেই নাম্বারে একটি ওটিপি কোড যাবে। সেই কোডটি কপি করে নিয়ে "যাচাইকরণ কোডটি দিন" লিখিত ফাঁকা ঘরটিতে সাবমিট করতে হবে। এরপরে "বহাল" বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হয়ে যাবে। 
উপরের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন যে সেখানে NID Wallet নামের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। যাইহোক আপনি লাল রংয়ের গোল অংশটিতে ক্লিক করবেন। সেখানে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে ওপেন হবে। 
মনে রাখবেন আপনি যদি, NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড না করেন তাহলে কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনাকে NID Wallet অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে।
উপরের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন যে, সেখানে দুইটি অংশ সিলেক্ট করা হয়েছে একটি লাল বৃত্ত দ্বারা আর অপরটি কালো বৃত্ত দ্বারা। প্রথমে আপনি কালো বৃত্তের অংশটিতে ক্লিক করে কিউআর কোড কপি করে নিবেন। 

এরপরে লাল বৃত্ত চিহ্নিত অংশের ক্লিক করবেন। সেখানে ক্লিক করলে আপনাকে সরাসরি গুগল প্লে স্টোরের এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপ্লিকেশনটিতে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে আপনি এনআইডি ওয়ালেট ইন্সটল করে নিবেন। 

এরপরে আপনাকে এনআইডি বলে টি ওপেন করতে হবে সেখানে বাংলা বা ইংলিশ যে কোন একটি ভাষা সিলেক্ট করতে হবে যা নিচের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন। এরপরে "এগ্রি এন্ড কন্টিনিউ" বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। 
"এগ্রি এন্ড কন্টিনিউ" বাটনটিতে ক্লিক করার পরে নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে উপস্থিত হবে সেখানে দেখতে পাচ্ছেন যে, "কোড" লেখা নামের একটি অংশ চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে ক্লিক করবেন। সেখানে ক্লিক করলে ইতোপূর্বে কপিকৃত কোডটি অটোমেটিক পেস্ট হয়ে যাবে। 

এরপর নিচের চিত্রের মত নতুন আরেকটি ইন্টারফেস আপনার সামনে উপস্থিত হতে হবে। নিচের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন যে, "ফেস স্ক্যান শুরু করুন" নামের একটি বাটন রয়েছে সেই বাটনটিতে ক্লিক করুন।ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে এই স্টেপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সঠিকভাবে ফেস স্কেন না হলে আপনি পরবর্তী ধাপে যেতে পারবেন না। 
"ফেস স্ক্যান শুরু করুন" নামের বাটনটিতে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত নতুন আরেকটি ইন্টারফেস আপনার সামনে চলে আসবে। অর্থাৎ আপনার ফোনের সামনের ক্যামেরা টি চালু হয়ে যাবে এবং আপনার ফেস স্কেন শুরু হয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে আপনার চেহারা এদিক সেদিক ঘুরিয়ে ফেস স্কেন সম্পন্ন করতে হবে। 

এসএসকেএম সম্পন্ন হয়ে গেলে নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে চলে আসবে। সেখানে আপনাকে "ঠিক আছে" বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। 
"ঠিক আছে" বাটনটিতে ক্লিক করলে নিচের চিত্রের মত নতুন আরেকটি ইন্টারফেস উপস্থিত হবে সেখানে আপনি আপনার আইডি কার্ডের ছবি এবং নাম ঠিকানা দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি দুইটি অপশন পাবেন একটি হলো "স্কিপ" আরেকটি হলো "সেট পাসওয়ার্ড"। আপনি যদি পাসওয়ার্ড সেট করতে চান, সেট পাসওয়ার্ড এ ক্লিক করতে পারেন অন্যথায় স্কিপ অংশটিতে ক্লিক করবেন। 
"স্কিপ" বাটনে ক্লিক করার পরে নিচে। এর মত আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আপনার সামনে হাজির হবে। সেখানে আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। নিচের চিত্র দেখতে পাচ্ছেন যে "ডাউনলোড" নামের একটি লেখা রয়েছে, সেখানে ক্লিক করে খুব সহজেই আপনি ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। 
ডাউনলোড অপশনটিতে ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মত আরেকটি নতুন ইন্টারেস্ট চলে আসবে। নিচের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন যে, আপনার এনআইডি কার্ডটি পিডিএফ আকারে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে আপনি যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচে ডাউনলোড অপশনটিতে ক্লিক করুন। সেখানে ক্লিক করলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে।
সফলভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আপনি আপনার মোবাইলের ডাউনলোড ফাইলে দেখতে পাবেন। সেখান থেকে চাইলে আপনি আপনার এনআইডি কার্ডের ডাউনলোডকৃত কপি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। 

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করবেন আশা করি তা বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। উপরোল্লিখিত নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আশা করা যায় আপনি খুব সহজেই, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। উপরে বর্ণিত, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে আশা করি উপকৃত হয়েছেন। 

ল্যাপটপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড

ল্যাপটপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার আলাদা কোন নিয়ম নেই। কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে হয়? বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয় সে বিষয়ে সম্পর্কিত মধ্যে উপরিস্থিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। উপরোল্লিখিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম অনুসরন করে খুব সহজেই আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। 

যেহেতু ইতোমধ্যেই ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার পদ্ধতি যথাযথ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাই তার পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজন নেই। সঠিকভাবে উপরোল্লিখিত নিয়ম অনুসরণ করলেই খুব সহজেই আপনি, ল্যাপটপের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। 

হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। নিচে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সঠিক নিয়ম। 

জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড যদি হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে প্রথমে আপনাকে আপনার নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। তারপর উক্ত সাধারণ ডায়েরির রিসিভ কপিটা নিয়ে আপনি নিজে অথবা কারো সাহায্য নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অথবা সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েও করতে পারবেন। আপনি দুই ভাবেই আবেদন করতে পারবেন।
কিভাবে হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয় আশা করি তারা জানতে পারলেন।ইতোমধ্যেই উপরে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড: শেষ কথা

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড কিভাবে করতে হয় সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে উপরে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি উপরোল্লেখিত নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আর্টিকেলটির যদি আপনার পছন্দ হয় তাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করে, সকলকে জানার সুযোগ করে দিন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url