তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও সময় | tahajjud namaz niyat and time

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে সঠিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবেন। নিচে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম-কানন সমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও সময় সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচি নির্দেশনা

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম | tahajjud namaz

ফরজ নামাজের পরে আল্লাহ তায়ালার নিকটে সব থেকে পছন্দনীয় নামাজ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার পূর্বে থেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। কেননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপরে মৃত্যুর পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ ফরজ ছিল।

উম্মতে মোহাম্মদীর উপরে তাহাজ্জুদের নামাজ ফরজ না হলেও তা অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটি নফল ইবাদত। ফরজ নামাজের পরেই তাহাজ্জুদ নামাজের মর্যাদা। আপনি যদি নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েন, তাহলে তা কেয়ামতের মাঠে আপনার নাজাতের কারণ হতে পারে। আর তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হলো তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ার চেষ্টা করা।

যাইহোক, আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জেনে নিতে হবে এবং যথাযথভাবে তা অনুসরণ করতে হবে। কেননা, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ না করলে, তাহাজ্জুদের নামাজ শুদ্ধ হবে না। যাইহোক নিচে, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম তুলে ধরা হলো।

অন্যান্য নফল নামাজের মতই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার জন্য পবিত্র কুরআনের যে কোন সূরা পাঠ করা যায়। কেননা তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন সূরা নেই।

আপনি যদি অন্যান্য নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে তাহাজ্জুদের নামাজও পড়তে পারবেন। সুতরাং এ কথা স্পষ্ট যে তাহাজ্জুদ নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। অন্যান্য নফল নামাজের মত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যেতে পারে।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় | tahajjud namaz time

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসরণ করে যথাসময়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উচিত। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ব্যাপারে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তাহাজ্জুদ নামাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে সেই সময়ের মধ্যেই আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। 
রাত্রের তিনভাগের শেষের ভাগ থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজের সময় অবশিষ্ট থাকে। তাই আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান, তাহলে সেই সময় আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। 

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত | tahajjud namaz niyat

আপনি যদি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল যে, নামাজের নিয়ত কি মুখে মুখে উচ্চারণ করে পাঠ করতে হবে, নাকি মনে মনে নিয়ত করলেই চলবে?

অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের মতামত হল নিয়ত সম্পূর্ণ মনের বিষয়, তাই মুখে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করে পাঠ করার কোন প্রয়োজন নেই, মনে মনে নিয়ত করলেই নিহত হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে অন্যান্য ওলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে, নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করে পাঠ করতে হবে। 

যাইহোক, আপনি যদি তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং তাহাজ্জুদের নামাজের সময় ওঠেন তার মানে হল যে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্যই ঘুম থেকে উঠেছেন। সুতরাং সেটাই আপনার নিয়ত বলে বিবেচিত হবে। তবে যদি আপনি মনে মনে নিয়ত করার পাশাপাশি মুখে নিয়োগ উচ্চারণ করতে চান তাহলে নিম্ন বর্ণিত, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত দেখে নিতে পারেন। 

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত:

ﻧَﻮَﺍﻳْﺖُ ﺍَﻥْ ﺍُﺻَﻠِّﻰَ ﻟِﻠَّّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻰْ ﺻَﻠَﻮﺓِ ﺍﻟﺘَّﻬَﺠُّﺪِ ﺳُﻨَّﺔُ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻣُﺘَﻮَﺟِّﻬًﺎ ﺍِﻟَﻰ ﺟِﻬَﺔِ ﺍﻟْﻜَﻌْﺒَﺔِ ﺍﻟﺸَّﺮِﻳْﻔَﺔِ ﺍَﻟﻠَّﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ


বাংলা উচ্চারণ: 

"নাওয়াইতুয়ান উসালিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকাআতাই সালাতিত তাহাজ্জতিই মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবর।"

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম-কানুন সমূহ ইতোমধ্যেই উপরের বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।আর্টিকেলটির এই অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল? সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

অনেকের মনে এই ধরনের প্রশ্ন তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল? তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক করার কোন অবকাশ নেই। কেননা তাহাজ্জুদের নামাজ নফল হোক আর সুন্নত হোক, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ। 

এ নামাজের গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের মাঝে কোন ধরনের কোন পার্থক্য নেই। সকল ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মতিক্রমে তাহাজ্জুদ নামাজ খুবই মর্তবা সম্পন্ন একটি নামাজ। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেছেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার জন্য উৎসাহিত করেছেন সেই অর্থে তাহাজ্জুদের নামাজ হলো সুন্নত।

পক্ষান্তরে যেহেতু তাহাজ্জুদের নামাজ ফরজ নয় তাই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা নফল। অর্থাৎ তাহাজ্জুদের নামাজ একই সাথে সুন্নাত এবং নফল। তবে একথা স্পষ্ট যে, তাহাজ্জুতের নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা অবশ্য পালনীয় সুন্নত নয়। বরং এটি এখতিয়ারাধীন সুন্নত। অর্থাৎ চাইলে পালন করতে পারেন, এতে আপনি অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হবেন। তবে পালন না করলে গুনাহগার হবেন না।

তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসরণ করে যদি আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত? তা জেনে নেয়া উচিত। নিচে তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা সম্পর্কে ওলামায়ে কেরামের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কোন কোন ওলামায়ে কেরাম বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম চার রাকাত থেকে শুরু করে বারো রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। যাইহোক নিচে একটি হাদিস তুলে ধরা হবে, সেখান থেকে তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাত সংখ্যা সম্পর্কে জানা যাবে। 

আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা (রা:) কে জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজীর নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাইবাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহিহ বোখারি)।

উপরে উল্লেখিত হাদিস থেকে জানা গেল যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ এবং তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতেন। তবে অন্যান্য অনেক হাদিসে রাকাতের সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ কারণেই বহু ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে দুই রাকাত থেকে শুরু করে যত রাকাত ইচ্ছা তত রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। 

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসরণ করে যথাযথভাবে যদি আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন, তাহলে তা হবে আপনার জন্য অনেক ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। অন্যান্য যে কোন নফল নামাজ এমনকি নফল ইবাদতের চেয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ অধিক ফজিলতপূর্ণ। আর তাই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে চাইলে, অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হবে। 

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে নিচে পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের বর্ণনা সমূহের মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখ করা হবে। আশা করি নিম্ন বর্ণিত হাদিস সমূহ থেকে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আসুন দেখে নেয়া যাক, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে অনেক বর্ণনা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের এক জায়গায় ইরশাদ করেন, "তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।" - সূরা আযযারিয়াত আয়াত (১৭-১৮)

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। যেমন একটি হাদিসে বলা হয়েছে,  রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, "রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।" (মুসলিম)

অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, "আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর রহমত নাজিল করেন, যিনি রাতে নিদ্রা থেকে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন এবং তার স্ত্রীকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দেন। অতঃপর তিনি (তার স্ত্রী) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। এমনকি যদি তিনি (স্ত্রী) ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না চান, তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেন।" (আবু দাউদ ও নাসাঈ) 

উপরে উল্লেখিত অপবিত্র কোরআনের আয়াত এবং হাদিস সমূহ দ্বারা এ কথা স্পষ্ট যে, তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হবে নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। 

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসরণ করে যদি আপনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত জেনে নেয়া উচিত। নিচে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত তুলে ধরা হলো। 

তাহাজ্জুদ নামাজের পাঠ করতে হবে কিনা সেই বিষয়ে সম্পর্কে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং উপরে উচ্চারণসহ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত তুলে ধরা হয়েছে।  আর্টিকেলটির এই অংশে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত তুলে ধরা হবে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত। 

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত: 

"আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।"

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্য মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। 

তাহাজ্জুদের নামাজ সকলের ক্ষেত্রে সমান। চাইছে পুরুষ হোক কিংবা নারী হোক। মহিলাদের জন্য তার জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার আলাদা কোন নিয়ম নেই। তাই কোন মহিলা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চায় তাহলে সে উপরে উল্লেখিত নিয়মে আদায় করবে। 

তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম অনুসরণ করে যথাযথভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলেই হবে। তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন সূরা নেই। যে কোন সূরার মাধ্যমে অন্যান্য নফল নামাজের মত করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যেতে পারে। 

চাইলে আপনি ছোট ছোট সূরার সাহায্যে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন। আর চাইলে অনেক বড় বড় সুরার মাধ্যমেও। যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে এবং বড় বড় সূরা মুখস্ত থাকে তাহলে বড় সূরা দিয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যেতে পারে। 
তবে যদি আপনার বড় বড় ছেলে মুখস্ত না থাকে, এবং আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ছোট ছোট সূরা দিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবেও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নিতে পারেন। এক কথায় তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা হলো বড় কথা।  তা বড় কিংবা ছোট যে কোন সূরার মাধ্যমেই আদায় করা যেতে পারে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url