পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ | পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায়

পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ সমূহের নাম নিচে উল্লেখ করা হবে। তাই আপনি যদি পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধের নাম জেনে নিতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে, পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ সমূহের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ

পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ সমূহের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে যদি আপনি নিম্ন বর্ণিত ঔষধ গুলো সেবন করেন, তাহলে আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 
ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করে সেবন করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয় করে সেবন করলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন। এই আর্টিকেলটিতে বর্ণিত তথ্যগুলো শুধুমাত্র ধারণা পাওয়ার জন্য, চিকিৎসার জন্য নয়। চিকিৎসার জন্য অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

  • Antigall
  • Bilicir
  • Liconor
  • Liveric
  • Stener
  • Surliv
  • Uliv
  • Uliv
  • Ursodex
  • Ursoren

পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায়

পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ  সমূহের নামের তালিকা ইতোমধ্যে উপরে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। নিচে পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায় সমূহ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। আশা করি নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়লে আপনি উপকৃত হতে পারবেন। 

  • সার্জারি: পিত্তথলির পাথর অসাধারণ করার জন্য সার্জারি করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যদি আপনার পিত্তথলির পাথর অনেক বড় হয়ে যায় এবং অত্যধিক যন্ত্রণাদায়ক হয়, সেক্ষেত্রে সার্জারি করতে হয়। তবে যদি রোগের গভীরতা কম থাকে বা পাথর অত বড় না হয়ে যায় এবং যন্ত্রনা কম হয় সে ক্ষেত্রে ঔষধের মাধ্যমেও পিত্তথলির পাথরের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
  • ওরাল ডিস সলিউশন থেরাপি: পিত্তথলির পাথর দূর করার আরেকটি কার্যকর উপায় হল ওরাল ডিস সলিউশন থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমেও অল্প সময়ের মধ্যেই পিত্তথলির পাথর দূর করা সম্ভব।
  • ভেষজ ঔষধ: পিত্তথলির পাথর অপসারণ করার জন্য ভেষজ ঔষধ সেবন করার যেতে পারে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে ভেষজ ঔষধ খান, তাহলে আশা করা যায় পিত্তথলির পাথর দূর করতে পারবেন। 
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করা: পিত্তথলিতে যদি পাথর হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। কেননা আপনি যদি সুষম খাদ্য গ্রহণ না করেন, তাহলে আপনার শরীরে পুষ্টিহীনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর শরীরে যদি প্রয়োজনীয় পুষ্টি না থাকে তাহলে তা পিত্তথলির পাথর রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: আপনি যদি পিত্তথলির পাথর অপসারণের চিকিৎসা গ্রহণ করেন, তাহলে এর পাশাপাশি আপনার উচিত হবে ব্যায়াম করা। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আশা করা যায় দ্রুত ফলাফল পাবেন। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। 

পিত্তথলির পাথর কেন হয়

ইতিমধ্যেই উপরে পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ সমূহের নামের তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার কারণ সম্পর্কে আর্টিকেলটির এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক,পিত্তথলির পাথর কেন হয়? 

  • পিত্তথলিতে অত্যধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল জমলে: পিত্তথলিতে যদি অধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল জমে সেক্ষেত্রে কিন্তু পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। তাই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। 
  • পিত্তে লবণের পরিমাণ বেড়ে গেলে: পিত্তথলিতেযদি লবনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে সমাধান থাকতে হবে যেন পিত্তথলিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
  • স্থূলতা: শরীরে যদি অতিরিক্ত চর্বি জমে তাহলে পিত্তথলিতে পাথরের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পিত্তথলিতে পাথরের রোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • দ্রুত ওজন কমে যাওয়া: হঠাৎ করে যদি আপনার শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় তাহলে এর ফলে পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা দ্রুত শরীরের ওজন কমে গেলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • গর্ভধারণ: অনেক সময় নারীদের ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট হলে পিত্তথলির পাথরের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং গর্ভধারণ করা ও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার একটি কারণ। তবে গর্ভধারণের কারণে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। অল্প কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে।

পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ

পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ নির্ভর করবে রোগের গভীরতা সেবার মান এবং হাসপাতালের ভিন্নতার উপর। একই ধরনের অপারেশনের খরচ একেক হাসপাতালে একেক ধরনের হয়ে থাকে। যদি আপনি কম গুণগত মান সম্পন্ন হাসপাতালে যান এবং সেখানে পিত্তথলির অপারেশন করেন, তাহলে অল্প টাকাতেই তা করতে পারবেন। 
পক্ষান্তরে যদি আপনি ভালো স্বনামধন্য কোন হাসপাতালে যান এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসার জনের সাহায্যে যদি আপনি অপারেশন করান তাহলে  আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে। এক কথায় হাসপাতাল ভেদে এবং সেবার মান ভেদে অপারেশনের খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যাইহোক সাধারণত পিত্তথলির অপারেশন করতে ৩০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। 

পিত্তথলির পাথর এর লক্ষণ

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই, পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ সমূহের নাম জানতে পেরেছেন। নিচে পিত্তথলির পাথর এর লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। পিত্তথলির পাথর এর লক্ষণ  সমূহ যদি জেনে নিতে চান তাহলে নিম্ন বর্ণিত মনোযোগের সাথে পড়ুন। 

  • পেটে ব্যথা হওয়া: পিত্তথলিতে পাথর হলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে তার মধ্য থেকে অন্যতম একটি হলো পেটে ব্যথা হওয়া। পেটে যদি অধিক পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে তা পিত্তথলিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে।
  • ডান কাঁধে ব্যথা হওয়া: পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার আরেকটি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল ডান কাঁধে ব্যথা হওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। তাই যদি আপনি দেখতে পান যে, আপনার ডান কাঁধে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে, আপনার পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে কিনা।
  • মাথা ঘুরানো ও বমি হওয়া: পিত্তথলিতে পাথরের আরেকটি লক্ষণ হল মাথা ঘুরানো এবং বমি হওয়া। মাথা ঘুরানো এবং বমি হওয়া পিত্তথলিতে পাথরের গুরুতর একটি লক্ষণ এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • ঘনঘন বদহজম বা পেট ফাঁপা হওয়া: ঘনঘন বদ হজম হওয়া বা পেট ফাঁপা ধরার মতো সমস্যা গুলো দেখা যায় পিত্তথলিতে পাথর হলে। তাই এই ধরনের সমস্যা যদি ঘনঘন হয় বা দীর্ঘদিন হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে কিনা তা চেকআপ করতে হবে। 
  • চর্বিযুক্ত খাবার একেবারেই সহ্য না হওয়া: কোন ধরনের চর্বিযুক্ত জিনিস খেলেই যদি আপনার পেটে গন্ডগোল দেখা দেয় বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এটি হতে পারে পিত্তথলিতে পাথরের অন্যতম একটি লক্ষণ। পিত্তথলিতে যদি পাথর হয় তাহলে চর্বি জাতীয় জিনিস একেবারেই সহ্য হবে না।

পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথি ঔষধ

উপরে উল্লেখিত পিত্তথলির পাথর গলানোর ঔষধ সমূহ ছিল এলোপ্যাথিক ঔষধ। নিচে পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথি ঔষধ সমূহের নামের তালিকা তুলে ধরা হবে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে যদি আপনি নিম্ন বর্ণিত ঔষধ সেবন করেন তাহলে আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। 

কোন ধরনের কাঁটা ছেঁড়া ছাড়াই যদি আপনি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে শুধুমাত্র ঔষধের মাধ্যমে পিত্তথলির পাথর অপার অপসারণ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে হোমিওপ্যাথি। 

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজে আপনি পিত্তথলির পাথর অপসারণ করতে পারবেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে যদি আপনি হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পিত্তথলির পাথর অপসারণ করা সম্ভব। 

যাইহোক নিচে, পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথি ঔষধ সমূহের নাম তুলে ধরা হবে। মনে রাখবেন নিজে নিজে কখনোই ঔষধ ক্রয় করে সেবন করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত যদি নিজে নিজেই আপনি ঔষধ ক্রয় করে সেবন করেন তাহলে কিন্তু বিপরীত হতে পারে। 

অর্থাৎ রোগ ভালো হওয়ার পরিবর্তে আপনার রোগ আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, পিত্তথলির পাথর গলানোর হোমিওপ্যাথি ঔষধ সমূহের নাম। 

  • Natrum sulphuricum
  • Calcarea carbonica
  • Cholesterinum
  • Chelidonium
  • Nux vomica
  • Carduus marianus
  • Berberis vulgaris
  • China off
  • Ceanothus
  • Lycopodium

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url