সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ | সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ | sura okiya

সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ পবিত্র কুরআনের ৫৬ নম্বর সূরা। পবিত্র কোরআনে যতগুলো সূরা রয়েছে, তার মধ্য থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা হলো: সুরা ওয়াকিয়াহ। সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ এর আরবি ও বাংলা উচ্চারন তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র

সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ: ভূমিকা

পবিত্র কোরআনের যতগুলো সূরা রয়েছে, সবগুলো সূরার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং ফজিলত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সূরা ওয়াকিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। এই সূরাটি তেলাওয়াত করলে অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। আপনি যেকোন জায়গা থেকে যদি সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করতে চান তাহলে নিম্নবর্ণিত সূরা ওয়াকিয়া দেখে দেখে খুব সহজেই ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করতে পারবেন। 

সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ

সব সময় পবিত্র কুরআনের সাথে রাখা সম্ভব হয়না এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় ইচ্ছা থাকলেও সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করা সম্ভব হয় না। এই সমস্যার সমাধানকল্পে নিচে আপনার জন্য সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ এর আরবি এবং সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ তুলে ধরা হলো।আপনি যদি আরবি জেনে থাকেন তাহলে নিম্নবর্ণিত সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ দেখে দেখে খুব সহজেই যেকোন জায়গা থেকে পবিত্র কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ এই সূরা তেলাওয়াত করতে পারবেন।

পক্ষান্তরে যদি আপনি, সূরা ওয়াকিয়া বা সুরা ওয়াকিয়াহ আরবি দেখে দেখে তিলাওয়াত করতে না পারেন তাহলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কেননা নিচে আপনার জন্য তুলে ধরা হবে, সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ। নিম্নবর্ণিত, সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ দেখে দেখে আপনি সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করতে পারবেন। 
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন তাহলে, সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এবং সূরা ওয়াকিয়া ডাউনলোড করতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ।



সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ

অনেকেই রয়েছে যারা পবিত্র কুরআন দেখে দেখে সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ সূরা তিলাওয়াত করতে পারেন না। আর সে কারণে কুরআন পাঠের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। পবিত্র কোরান দেখে দেখে তিলাওয়াত না করতে পারলেও আপনি যদি বাংলা জেনে থাকেন তাহলে খুব সহজেই, সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ দেখে দেখে সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ সূরা তিলাওয়াত করতে পারবেন। 
আপনি যদি সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ দেখে দেখে সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ সূরা তিলাওয়াত করতে চান, তাহলে নিম্নবর্ণিত সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ আপনার বিশেষ উপকারে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আর্টিকেলটির শেষ অংশে সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত তুলে ধরা হবে।  তো চলুন দেখে নেয়া যাক, সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ। 

(১) ইযা-ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ।
(২) লাইছা লিওয়াক‘আতিহা-কা-যিবাহ।
(৩) খা-ফিদাতুর রাফি‘আহ।
(৪) ইযা-রুজ্জাতিল আরদুরাজ্জা-।

(৫) ওয়া বুছছাতিল জিবা-লুবাছছা-।
(৬) ফাকা-নাত হাবাআম মুমবাছছা-।
(৭) ওয়া কুনতুম আঝওয়া-জান ছালা-ছাহ।
(৮) ফাআসহা-বুল মাইমানাতি মাআসহা-বুল মাইমানাহ।

(৯) ওয়া আসহা-বুল মাশআমাতি মাআসহা-বুল মাশআমাহ ।
(১০) ওয়াছছা-বিকূনাছছা-বিকূন।
(১১) উলাইকাল মুকাররাবূন।
(১২) ফী জান্না-তিন না‘ঈম।

(১৩) ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।
(১৪) ওয়া কালীলুম মিনাল আ-খিরীন।
(১৫) ‘আলা-ছুরুরিমমাওদূ নাহ।
(১৬) মুত্তাকিঈনা ‘আলাইহা-মুতাকা-বিলীন।

(১৭) ইয়াতূ ফূ‘আলাইহিম বিলদা-নুমমুখাল্লাদূন।
(১৮) বিআকওয়া-বিওঁ ওয়া আবা-রীকা ওয়াকা’ছিম মিম্মা‘ঈন।
(১৯) লা-ইউসাদ্দা‘ঊনা ‘আনহা-ওয়ালা ইউনঝিফূন।
(২০) ওয়া ফা-কিহাতিম মিম্মা-ইয়াতাখাইয়ারূন।

(২১) ওয়া লাহমি তাইরিম মিম্মা-ইয়াশতাহূন।
(২২) ওয়া হূরুন ‘ঈন।
(২৩) কাআমছা-লিল লু’লুয়িল মাকনূন।
(২৪) জাঝাআম বিমা-কা-নূইয়া‘মালূন।

(২৫) লা-ইয়াছমা‘ঊনা ফীহা-লাগওয়াওঁ ওয়ালা-তা’ছীমা-।
(২৬) ইল্লা-কীলান ছালা-মান ছালা-মা-।
(২৭) ওয়া আসহা-বুল ইয়ামীনি মাআসহা-বুল ইয়ামীন।
(২৮) ফী ছিদরিম মাখদূদ।

(২৯) ওয়া তালহিমমানদূ দ।
(৩০) ওয়া জিলিলমমামদুদ।
(৩১) ওয়া মাইমমাছকূব।
(৩২) ওয়া ফা-কিহাতিন কাছীরাহ।

(৩৩) লা-মাকতূ‘আতিওঁ ওয়ালা-মামনূ‘আহ।
(৩৪) ওয়া ফুরুশিমমারফূ‘আহ।
(৩৫) ইন্নাআনশা’না-হুন্না ইনশাআ।
(৩৬) ফাজা‘আলনা-হুন্না আবকা-রা।

(৩৭) ‘উরুবান আতরা-বা-।
(৩৮) লিআসহা-বিল ইয়ামীন।
(৩৯) ছু ল্লাতুম মিনাল আওওয়ালীন।
(৪০) ওয়া ছুল্লাতুম মিনাল আ-খিরীন।

(৪১) ওয়া আসহা-বুশশিমা-লি মাআসহা-বুশ শিমা-ল।
(৪২) ফী ছামূমিওঁ ওয়া হামীম।
(৪৩) ওয়া জিলিলম মিইঁ ইয়াহমূম।
(৪৪) লা-বা-রিদিওঁ ওয়ালা-কারীম।

(৪৫) ইন্নাহুম কা-নূকাবলা যা-লিকা মুতরাফীন।
(৪৬) ওয়াকা-নূইউসিররূনা ‘আলাল হিনছিল ‘আজীম।
(৪৭) ওয়া কা-নূইয়াকূলূনা আইযা-মিতনা-ওয়া কুন্না-তুরা-বাওঁ ওয়া ‘ইজা-মান আইন্নালামাব‘ঊছূন।
(৪৮) আওয়া আ-বাউনাল আওওয়ালূন।

(৪৯) কুল ইন্নাল আওওয়ালীনা ওয়াল আ-খিরীন।
(৫০) লামাজমূ‘ঊনা ইলা-মীকা-তি ইয়াওমিম মা‘লূম।
(৫১) ছু ম্মা ইন্নাকুম আইইয়ুহাদ্দাললূনাল মুকাযযি বূন।
(৫২) লাআ-কিলূনা মিন শাজারিম মিন ঝাক্কূম।

(৫৩) ফামা-লিঊনা মিনহাল বুতূন।
(৫৪) ফাশা-রিবূনা ‘আলাইহি মিনাল হামীম।
(৫৫) ফাশা-রিবূনা শুরবাল হীম।
(৫৬) হা-যা-নুঝুলুহুম ইয়াওমাদ্দীন।

(৫৭) নাহনুখালাকনা-কুম ফালাওলা-তুসাদ্দিকূন।
(৫৮) আফারাআইতুমমা-তুমনূন।
(৫৯) আ আনতুম তাখলুকূনাহূআম নাহনুল খা-লিকূন।
(৬০) নাহনুকাদ্দারনা-বাইনাকুমুল মাওতা ওয়ামা-নাহনুবিমাছবূকীন।

(৬১) ‘আলাআননুবাদ্দিলা আমছা-লাকুম ওয়া নুনশিআকুম ফী মা-লা-তা‘লামূন।
(৬২) ওয়া লাকাদ ‘আলিমতুমুন্নাশআতাল ঊলা-ফালাওলা-তাযাক্কারূন।
(৬৩) আফারাআইতুম মা-তাহরুছূন।
(৬৪) আআনতুম তাঝরা‘ঊনাহূআম নাহনুঝঝা-রি‘ঊন।

(৬৫) লাও নাশা-উ লাজা‘আলনা-হু হুতা-মান ফাজালতুম তাফাক্কাহূন।
(৬৬) ইন্না-লামুগরামূন।
(৬৭) বাল নাহনুমাহরূমূন।
(৬৮) আফারাআইতুমুল মাআল্লাযী তাশরাবূন।

(৬৯) আ আনতুম আনঝালতুমূহু মিনাল মুঝনি আম নাহনুল মুনঝিলূন।
(৭০) লাও নাশাউ জা‘আলনা-হু উজা-জান ফালাওলা-তাশকুরূন।
(৭১) আফারাআইতুমুন্না-রাল্লাতী তূরূন।
(৭২) আ আনতুম আনশা’তুম শাজারাতাহাআম নাহনুল মুনশিঊন।

(৭৩) নাহনুজা‘আলনা-হা-তাযকিরাতাওঁওয়া মাতা-‘আল লিলমুকবিন।
(৭৪) ফাছাববিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।
(৭৫) ফালাউকছিমুবিমাওয়া-কি‘ইননুজূম।
(৭৬) ওয়া ইন্নাহূলাকাছামুল লাও তা‘লামূনা ‘আজীম।

(৭৭) ইন্নাহূলাকুরআ-নুন কারীম।
(৭৮) ফী কিতা-বিম মাকনূন।
(৭৯) লা-ইয়ামাছছুহূইল্লাল মুতাহহারূন।
(৮০) তানঝীলুম মির রাব্বিল ‘আ-লামীন।

(৮১) আফা বিহা-যাল হাদীছিআনতুম মুদহিনূন।
(৮২) ওয়া তাজ‘আলূনা রিঝকাকুম আন্নাকুম তুকাযযি বূন।
(৮৩) ফালাও লাইযা-বালাগাতিল হুলকূম।
(৮৪) ওয়া আনতুম হীনাইযিন তানজু রূন।

(৮৫) ওয়া নাহনুআকরাবুইলাইহি মিনকুম ওয়ালা-কিল্লা-তুবসিরূন।
(৮৬) ফালাওলাইন কুনতুম গাইরা মাদীনিন।
(৮৭) তার জি‘ঊনাহাইন কুনতুম সা-দিকীন।
(৮৮) ফাআম্মাইন কা-না মিনাল মুকাররাবীন।

(৮৯) ফারাওহুওঁ ওয়া রাই হা-নুওঁ ওয়া জান্নাতুনা‘ঈম।
(৯০) ওয়া আম্মাইন কা-না মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
(৯১) ফাছালা-মুল্লাকা মিন আসহা-বিল ইয়ামীন।
(৯২) ওয়া আম্মাইন কা-না মিনাল মুকাযযি বীনাদ্দাল্লীন।

(৯৩) ফানুঝুলুম মিন হামীম।
(৯৪) ওয়া তাসলিয়াতুজাহীম।
(৯৫) ইন্না হা-যা-লাহুওয়া হাক্কুল ইয়াকীন।
(৯৬) ফাছাব্বিহবিছমি রাব্বিকাল ‘আজীম।

সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থ

ইতোমধ্যেই উপরে সুরা ওয়াকিয়াহ এর আরবি উচ্চারণ এবং সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থ তুলে ধরা হবে। আপনি যদি সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থ দেখতে চান, তাহলে নিম্নবর্ণিত সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থ দেখে নিতে পারেন। চলুন দেখে নেয়া যাক সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থ। 






সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত

সূরা ওয়াকিয়া ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা। বিভিন্ন হাদিসে সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে, তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন।(বাইহাকি-২৪৯৮)
এছাড়াও আরো অনেক সুরা ওয়াকিয়ার ফজিলত রয়েছে। তাই আপনার উচিত হবে প্রতিদিন নিয়মিত সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ তিলাওয়াত করা। পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করলে সওয়াব পাওয়া যায়। আর সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করলে, সওয়াব অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্রতা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

সূরা ওয়াকিয়া | সুরা ওয়াকিয়াহ: শেষ কথা

আপনার হাতে যদি একটি মোবাইল ফোন কিংবা একজন থাকে তাহলে খুব সহজেই উপরে বর্ণিত সূরা ওয়াকিয়া দেখে দেখে তিলাওয়াত করতে পারবেন। চাইলে আপনি সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ দেখে দেখে তেলাওয়াত করতে পারবেন। সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণ এর পাশাপাশি সূরা ওয়াকিয়া বাংলা অর্থ তুলে ধরা হয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url