কাজা নামাজের নিয়ত | কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম | kaja namaj porar niom
সূচি নির্দেশনা
কাজা নামাজের নিয়ত
কাজা নামাজ আদায় করার জন্য কাজা নামাজের নিয়ত পাঠ করতে হবে কিনা? সেই বিষয় নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মাঝে মতপার্থক্য বিদ্যমান। কোন কোন ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, নিয়ত যেহেতু মনের সাথে সম্পৃক্ত তাই নিয়ত করার কোন প্রয়োজন নেই। মনে মনে সংকল্প করলে নিয়ত হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে আরেক দল ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে, নিয়ত মুখে উচ্চারণ করতে হবে। যাইহোক এই আর্টিকেলটিতে কাজা নামাজের নিয়ত তুলে ধরা হবে। আপনি যদি কাজা নামাজের নিয়ত জেনে নিতে চান, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগের সাথে পড়তে থাকুন।
ফজরের কাজা নামাজের নিয়ত
ফজরের কাজা নামাজ আদায় করার জন্য যদি আপনি নিয়ত পাঠ করতে চান, তাহলে নিম্ন বর্ণিত ফজরের কাজা নামাজের নিয়ত পাঠ করা যেতে পারে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, ফজরের কাজা নামাজের নিয়ত।
ফজরের কাজা নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা রাকাআতি ছালাতিল ফাজরি ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
আরো পড়ুন: কসর নামাজের নিয়ম | kosor namaz
বাংলা অনুবাদ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফজরের ফরজ দুই রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
যোহরের কাজা নামাজের নিয়ত
আর্টিকেলটির এই অংশে যোহরের কাজা নামাজের নিয়ত তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি যোহরের কাজা নামাজের নিয়ত জেনে নিতে চান, তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নিচে, যোহরের কাজা নামাজের নিয়ত তুলে ধরা হবে। যোহরের কাজা নামাজের নিয়ত নিম্নরূপ।
যোহরের কাজা নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল জোহরে ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অর্থ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে যোহরের ফরজ চার রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত
অনেকেই আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত অনুসন্ধান করে থাকেন, আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন। নিচে, আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত উল্লেখ করা হবে। চাইলে আপনি নিম্ন বর্ণিত, আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত মুখস্ত করে নিতে পারেন। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত।
আসরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল আছরিল ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে আছরের ফরজ চার রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত
আপনি যদি মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত অনুসন্ধান করে থাকেন, তাহলে সঠিক জায়গাতেই এসে পৌঁছেছেন। কেননা আর্টিকেলটি এই অংশে মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত উল্লেখ করা হবে। যাইহোক, আসুন মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত দেখে নেয়া যাক।
মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল মাগরিব ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে মাগরিবের ফরজ তিন রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
এশার কাজা নামাজের নিয়ত
ইতোমধ্যেই উপরে ফজর, যোহর, আছর এবং মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত উপরে তুলে ধরা হয়েছে। নিচে এশার কাজা নামাজের নিয়ত তুলে ধরা হলো। তাই যদি আপনি মাগরিবের কাজা নামাজের নিয়ত মুখস্ত করতে চান, তাহলে নিম্ন বর্ণিত এশার কাজা নামাজের নিয়ত দেখে দেখে মুখস্ত করে নিতে পারেন।
এশার কাজা নামাজের নিয়ত: নাওয়াইতুয়ান আকদিয়া লিল্লাহি ত’আলা আরবায়া রাকাআতি ছালাতিল এশা ফায়েতাতি ফারযুল্লাহি তা’আলা মোতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা অনুবাদ: আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে এশার ফরজ চার রাকাত কাযা নামাজ আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।
কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম | কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম
কাজা নামাজ পড়ার স্পেসিফিক তেমন কোনো নিয়ম নেই সাধারণ নামাজের মতই কাজা নামাজ আদায় করা যায়। তবে কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো মনে রাখতে হবে।
মুকিম অবস্থায় যদি আপনার নামাজ কাজা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে এমনকি যদি আপনি সফরে গিয়েও কাজা নামাজ আদায় করেন এরপরেও আপনাকে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
পক্ষান্তরে যদি মুসাফির অবস্থায় আপনার নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে কছর নামাজ আদায় করতে হবে যদি আপনি মুকিম অবস্থাতে গিয়েও মুসাফির অবস্থায় থাকা কাজা নামাজ গুলো আদায় করেন তাহলে সেগুলো কসর করতে হবে।
সাধারণত নফল কিংবা সুন্নত নামাজের কাযা নেই। তবে যদি কোন ব্যক্তি নফল নামাজ পড়া অবস্থায় তা ছেড়ে দেয় তাহলে সে নফল নামাজ পুনরায় আদায় করা তার উপরে ওয়াজিব। সুতরাং নফল নামাজের ক্ষেত্রেও গাজা ওয়াজিব হবে যদি তা শুরু করার পরে শেষ না করা হয়।
ঠিক তেমনি ভাবে যদি কোন ব্যক্তি নফল রোজা রাখার পরে তা ভেঙ্গে ফেলে, তাহলে অবশ্যই তাকে পরবর্তীতে সেই রোজার কাজা দিতে হবে। নফল ইবাদত করা বাধ্যতামূলক নয়। তবে করলে অনেক সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। কিন্তু নফল ইবাদত করতে গিয়ে মাঝপথে ছেড়ে দিলে তা পালন করা ওয়াজিব হয়ে যায়।