কাশির ট্যাবলেট এর নাম | কাশি দূর করার উপায়

কাশির ট্যাবলেট এর নাম হলো: Alarid, Keto 100, Tofen ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক কাশির ট্যাবলেট রয়েছে। নিচে আরো বিভিন্ন কোম্পানির কাশির ট্যাবলেট এর নাম তুলে ধরা হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক, কাশির ট্যাবলেট এর নাম।
সূচি নির্দেশনা

কাশির ট্যাবলেট এর নাম | কাশির ঔষধ

সর্দি-কাশি খুবই কমন রোগ। যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় সাধারণ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আপনার যদি কাশি জনিত সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে নিম্ন বর্ণিত ঔষধ গুলো সেবন করলে আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, কাশির ট্যাবলেট এর নাম। 

তবে নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করে সেবন করা যাবে ন। যে কোন ঔষধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। 

  • Deconil SR
  • Kofnlx SR
  • Meera SR
  • Mirakof SR
  • Sinakof
  • Tussibic

কাশি দূর করার উপায় | কাশি কমানোর উপায়

কাশির ট্যাবলেট এর নাম সমূহ ইতোমধ্যেই উপরে তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে কাশি কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই যদি আপনি নিম্ন বর্ণিত তথ্য মনোযোগ দিয়ে পড়েন, তাহলে কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। 

কাশি দূর করার কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। যে উপায় সমূহ অবলম্বন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে কাশি দূর করতে পারবেন। নিচে কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। 
আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়েন, তাহলে আশা করা যায় কাশি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো আসুন জেনে নেয়া যাক কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

  • চায়ের সাথে আদা মিশ্রিত করে পান করুন: চায়ের সাথে সামান্য পরিমাণে আদা মিশ্রিত করে খেলে তা কাশি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি কাশি থাকে, বিশেষ করে খুশখুশের কাশি থাকে তাহলে দিনে তিন থেকে চারবার চায়ের সাথে আদার রস মিশ্রিত করে খেলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাবেন।
  • আনারসের জুস খান: খুশখুসে কাশি দূর করতে আনারসের জুস কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যদি আপনার কাশির সমস্যা থাকে, তাহলে নিয়মিত আনারসের জুস পান করতে পারেন। নিয়মিত কিছুদিন আনারসের জুস পান করলে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাশির সমস্যা দূরীভূত হয়ে যাবে।
  • হালকা গরম পানির সাথে সামান্য লবন মিশ্রিত করে গড়গড়া করুন: হালকা গরম পানির সাথে সামান্য পরিমাণে লবণ মিশ্রিত করে সকাল বিকাল গড়গড়া করলে কাশি দূর হয়। তাই কাশি থেকে মুক্তি পেতে সকাল বিকাল গরম পানির সাথে লবন মিশ্রিত করে গড়গড়া করতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন: কাশির সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে দ্রুত কাশি দূর হয়ে যায়।
  • মধুর সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে সেবন করুন: কাশি দূর করার আরেকটি কার্যকর প্রাকৃতিক ঔষধ হলো লেবু এবং মধু মধুর সাথে যদি সামান্য পরিমাণে লেবু মিশ্রিত করে নিয়মিত সকাল বিকাল কিছুদিন সেবন করলে, অল্প সময়ের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করা যায়।
  • অভার দ্যা কাউন্টার জাতীয় ঔষধ সেবন করুন: কাশির সমস্যা যদি অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ কাশি থেকে মুক্তি পেতে ওভার দ্যা কাউন্টার জাতীয় ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। 
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করুন: কাশি থেকে যদি আপনি দ্রুত মুক্তি পেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। কেননা বিশ্রাম গ্রহণ করলে কাশি থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।

কাশি হলে করনীয়

ইতোমধ্যেই উপরে, কাশির ট্যাবলেট এর নাম সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনি যদি উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই কাশির ট্যাবলেট এর নাম সমূহ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যাইহোক নিচে কাশি হলে করণীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।

আপনার যদি কাশির সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো যথাযথভাবে করতে হবে। কেননা নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো যদি আপনি যথাযথভাবে না করেন, তাহলে সহজে কাশি ভালো হবে না। তাই কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে চাইলে, নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করুন।

  • গরম পানির সাথে মধু ও লেবুর রস মিশ্রিত করে খান: আপনার যদি কাশির সমস্যা থাকে, তাহলে গরম পানি এবং মধুর সাথে সামান্য পরিমাণে লেবুর রস মিশ্রিত করে নিয়মিত কিছুদিন সেবন করলে আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
  • কাশি দূর করার ক্যান্ডি খান: বাজারে বিভিন্ন ধরনের কাশি নিরোধক ক্যান্ডি পাওয়া যায়, সেই ক্যান্ডি গুলো খেতে পারেন। ক্যান্ডি গুলো খেলে কাশি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • ঘুমানোর সময় মাথা সামান্য উপরে রাখুন: ঘুমানোর সময় অবশ্যই আপনাকে মাথার সামান্য উপরে রাখতে হবে। আপনি যদি ঘুমানোর সময় মাথা সামান্য উপরে রাখেন তাহলে রাত্রে আরাম পাবেন।
  • আদ্র পরিবেশে থাকুন: আপনার যদি কাশি জনিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে আমরা পরিবেশ অবস্থান করতে হবে। কেননা শুষ্ক পরিবেশে অবস্থান করলে আপনার কাশির সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।
  • এলার্জি জাতীয় খাবার পরিহার করুন: এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে তা কাশির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই কাশির সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনাকে এলার্জি জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ রূপে পরিহার করতে হবে।

বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম

উপরে উল্লেখিত কাশির ট্যাবলেট এর নাম সমূহ দেখে যদি আপনি সেই ঔষধ ক্রয় করে বাচ্চাকে খাওয়ান্তা‌ হলে কিন্তু শিশু মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। কেননা শিশুদের জন্য ভিন্নভাবে ঔষধ প্রস্তুত করা হয়। তাই কখনোই উপরে উল্লেখিত কাশির ট্যাবলেট এর নাম দেখে দেখে ঔষধ ক্রয় করে ব্যবহার করা যাবে না।

বাচ্চাদের কাচের সমস্যা হলে অবশ্যই তাদেরকে শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়াতে হবে। কেননা শিশুদের ক্ষেত্রে বড়দের ঔষধ প্রযোজ্য নয়। সাধারণত শিশুদের কাশির বিশেষ পেরিয়েট্রিক ড্রপ রয়েছে। যদি শিশুদের কাজের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এই ড্রপগুলো খাওয়াতে হবে। 

তবে নিচে উল্লেখিত বাচ্চাদের ঔষধ সমূহের নাম দেখে দেখে ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করে খাওয়া যাবেনা। বরং ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ঔষধ সেবন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। 

  • Askoral
  • Buko kids
  • Buratuss
  • Butacit
  • Butasiv
  • Kofnix
  • Mirakof
  • Miraten

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

সর্দি কাশি হলে কি খাওয়া উচিত? তা ইতোমধ্যে উপরে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই যদি আপনি উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত। 
সর্দি কাশি হলে করণীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করার পাশাপাশি উপরে, কাশির ট্যাবলেট এর নাম তুলে ধরা হয়েছে। আশাকরি তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক ভালো লেগেছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url