১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য | ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

নিচে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর নমুনা উল্লেখ করা হবে। বিশেষ করে যারা ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে তারা নিচের এই ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ থেকে আইডিয়া নিয়ে যে কোন অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে পারবে। 

পেজ সূচিপত্রঃ ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য | ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণঃ ভূমিকা

বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম একটি অন্ধকারতম অধ্যায় হলো ১৫ ই আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। এ কারণে প্রতিবছর এই দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নিচে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য তুলে ধরা হবে।

শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেককেই বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক দলের নেতা রয়েছেন এবং শিক্ষার্থী রয়েছেন তাদেরকে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ  প্রদান করতে হয়।অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা আইডিয়া পাননা, যে কিভাবে তারা ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দিবেন।
নিচে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর যে নমুনা তুলে ধরা হবে তা অনুসরণ করলেই খুব সহজেই আপনি ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দিতে পারবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর নমুনাগুলো। 

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণঃ নমুনা বক্তব্য - ১

আসসালামু আলাইকুম।
অত্র অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, সেক্রেটারি, ও উপস্থিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শোকের মাসে সমবেদনা জানানোর উদ্দেশ্যে এবং জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে যারা এই মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।

আমি ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দেয়ার মত যোগ্য ব্যক্তি না হওয়ার পরেও যারা আমাকে সুন্দর এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ না জানালে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে। তাই তাদেরকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ, এবং তাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সম্মানিত উপস্থিতি,
আমাদের সকলেরই জানা উচিত পনেরোই আগস্টের ইতিহাস সম্পর্কে। কেননা ১৫ ই আগস্ট ইতিহাসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। আমরা যদি ১৫ ই আগস্ট এর সঠিক ইতিহাস না জানি তাহলে ইতিহাসের অনেক কিছুই আমাদের অজানা থেকে যাবে।

১৫ ই আগস্ট এর ইতিহাস বর্ণনা করতে গেলে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন কিন্তু আমি ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দেয়ার জন্য দীর্ঘ সময় পাবো না, তাই অল্প সময়ের মধ্যেই সংক্ষিপ্তভাবে ১৫ ই আগস্ট এর ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরার চেষ্টা করব।

সম্মানিত সুধিবৃন্দ,
যে মানুষটি সারা জীবন বাঙালি জাতির কল্যাণের কথা চিন্তা করে গেছেন এবং যিনি শক্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশৃংখল বাঙালি জাতিকে একত্রিত করে তাদের মাঝে স্বাধীনতার বীজ রোপণ করেছিলেন, যার শক্তিশালী নেতৃত্তের কারণে তৎকালীন পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাকে নিজেদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করত, সেই মানুষটিকে স্বাধীন বাংলাদেশে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হলো এমন ঘটনা ইতিহাসে সত্যিই বিরল।

স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেয়ার জন্য ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে নির্মম ঘটনাটি হল শেখ রাসেলের হত্যাকান্ড। 

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দিতে গেলে নিজেকে কন্ট্রোল করা খুব কঠিন ব্যাপার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিল শেখ রাসেল। ১৯৭৫ শেখ রাসেল ছিলেন নিতান্তই একজন শিশু। নির্দয় ঘাতকরা শিশু রাসেল কেও হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি। তার কি সম্পর্ক ছিল রাজনীতির সাথে? বা শিশু হিসেবেও কি তাকে ছাড় দেওয়া যেত না? 

১৫ আগস্টের সেই কালোরাতে ঘাতকরা একইসাথে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সহ তাঁর আত্মীয়-স্বজন তাদেরকে হত্যা করেছিল। অতীব দুঃখের বিষয় হল এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের সংঘটিত হয়নি বা কোনো সরকারের এই বিচার করেনি।

বরঞ্চ তার উল্টোটা ঘটে। অর্থাৎ যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারকে হত্যা করেছিল তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছিল এবং তাদেরকে সাধারন ক্ষমা করা হয়েছিল। অথচ নির্মম হত্যাকান্ডের জন্য উপযুক্ত বিচার ছিল জনগণের একান্ত কাম্য।

জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে, নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পাকিস্তানের দোসর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে চাচ্ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ১৫ ই আগস্ট এর বিচার সংঘটিত হয় এবং কয়েক জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। 

সম্মানিত সদস্যবৃন্দ,
শোকের এই মাসে আমরা সকলেই প্রতিজ্ঞা করব জয় শক্তি আমরা শক্তিতে পরিণত করে বাংলাদেশকে ধানীভাদ গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেব। এই বলে আমি আমার ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ শেষ করছি সকলকে ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণঃ নমুনা বক্তব্য - ২

আসসালামু আলাইকুম।
১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি সহ উপস্থিত সকলকে এই অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সেইসাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই অনুষ্ঠানের কতৃপক্ষকে যারা আমাকে মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠানটিতে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দান করার সুযোগ দিয়েছে।

আমার হাতে সময় খুবই অল্প তাই সংক্ষিপ্তভাবে আমি ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দেয়ার চেষ্টা করব। সর্বপ্রথম আমাদেরকে যে এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হলো, বাংলাদেশ আমাদের আর এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটাও আমাদেরই। তাই আমাদেরকে সকের এই মাসে প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার।
সম্মানিত সদস্যবৃন্দ,
১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এর শুরুতেই আমি বলতে চাই ১৫ ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে লজ্জার এবং দুঃখের একটি অধ্যায়। যিনি সারাজীবন বাঙালি জাতির কল্যাণের চিন্তা করেছেন, নির্যাতিত-নিপীড়িত নিষ্পেষিত বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি দের হাত থেকে স্বাধীন করার জন্য নিজের সারা জীবন ব্যয় করেছেন করেছেন এবং অবশেষে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন।

সেই মানুষটিকে অবশেষে স্বাধীন দেশে নিজের দেশের সেনাবাহিনীর হাতে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হল। বাঙালি জাতি তাদের সম্পদকে রক্ষা করতে পারেনি এটা তাদের ব্যর্থতা। কতিপয় বিপথগামী পাকিস্তানপন্থী, ক্ষমতালোভী সেনা অফিসারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়ের সমাপ্ত হলো।

সম্মানিত উপস্থিতি,
সময় কম থাকার কারণে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ আমাকে এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। অবশেষে বলতে চাই শোঁককে শক্তিতে পরিণত করে আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এটাই প্রত্যাশা। সবাইকে ধন্যবাদ।

১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণঃ উপসংহার

উপরে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ কিভাবে দিতে হয় সে সম্পর্কে যে নমুনা গুলো তুলে ধরা হলো আপনি যদি সেগুলোর সঠিকভাবে অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই যে কোন জায়গায় ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ দিতে পারবেন। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url