গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ | মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে পুরো আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সহিত পড়তে হবে। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? তা জানতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ এবং মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
পেজ সূচিপত্র

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ | প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ

প্রেগন্যান্ট হওয়ার অনেকগুলো লক্ষণ রয়েছে। সেই লক্ষণগুলো যদি আপনার মাঝে প্রকাশ পায়, সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন যে, আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। তো যাই হোক, প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সহিত পড়েন তাহলে, প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ এবং মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর। 

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ বা প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ সমূহ:

  • মাসিক ঋতুস্রাব মিস হওয়া: মাসিক মিস হওয়া গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। মাসিক মিস হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। তাই যদি মাসিক মিস হয়ে যায় তাহলে চেকআপ করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা। 
  • বমি বমি ভাব বা বমি হাওয়া: নারীরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের স্বাভাবিকভাবেই বমি বমি ভাব হয় কিংবা বমি হয়। অর্থাৎ মাসিক মিস হওয়ার সাথে যদি বমি বমি হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ধরে নিতে পারেন যে আপনি গর্ভবতী। 
  • স্তন পুষ্ট এবং নরম হওয়া: গর্ভে সন্তান আসার পরে, নারীদের স্তনপুষ্ট হয় এবং তা নরম হয়। তাই আপনি যদি আপনার স্তনের বৃদ্ধি দেখতে পান এবং দেখেন যে, আপনার স্তন নরম হয়েছে তাহলে ধরে নিতে পারেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন। 
  • প্রস্রাব বৃদ্ধি পাওয়া: স্বাভাবিকভাবেই নারীরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের প্রসবের চাপ বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ প্রস্রাবের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়া গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। 
  • হালকা রক্তযুক্ত স্রাব নির্গত হওয়া: কোন কোন নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার পরে হালকা রক্তযুক্ত স্রাব নির্গত হতে পারে। 
  • খাবারের অরুচি: নারীরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের খাবারে অরুচি চলে আসে। কোন কিছুই খেতে পারে না খেলে বমি বমি ভাব হয়। সুতরাং খাবারে অরুচি হওয়া গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: গর্ভবতী হলে কোন কোন নারীর, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। 
  • পা ফুলে যাওয়া: কিছু কিছু ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার পরে পা সহ, শরীরের নিচের অংশ কিছুটা ফুলে যায়। 
  • মেজাজ খিটখিতে হাওয়া: নারীরা যখন গর্ভবতী হয় তখন তাদের কোন কিছুই ভালো লাগেনা, আর এ কারণেই মেজাজ একটু খিট খেতে হয়ে যায়। 
  • অস্থিরতা ভাব বৃদ্ধি পাওয়া: গর্ভবতী হলে মেয়েদের অস্থিরতা ভাব বৃদ্ধি পায়। কোন কিছুই ভালো লাগেনা। সুতরাং অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়া। গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ ইতোমধ্যেই উপরে তুলে ধরা হলো। উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলো যদি আপনার মাঝে প্রকাশ পায় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। এবং নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগন্যান্ট কিট দ্বারা পরীক্ষা করে নিবেন। মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়, তা নিচে তুলে ধরা হলো। 

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক হওয়ার পরে সাধারণত ৫ দিন থেকে এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। তবে প্রেগন্যান্ট নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে। প্রেগনেন্সি টেস্টে যদি পজিটিভ আসে তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতীপক্ষান্তরে যদি প্রেগনেন্সি টেস্টে নেগেটিভ ফলাফল আসে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতেই হবে। মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়, আশা করি তা বুঝতে পেরেছেন।

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ বাংলা

নিচে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ বাংলায় তুলে ধরা হবে তাই গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ জানার জন্য নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো পড়তে থাকুন গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হল বমি বমি ভাব হওয়া বা বমি হওয়া। সাধারণত গর্ভবতী হলে সকল নারীর ওই এই সমস্যাটি দেখা দেয়। 

এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের আরো বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। কোন কোন নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে হালকা রক্তযুক্ত স্রাব নির্গত হয়। তাই আপনি যদি দেখতে পান যে এ ধরনের হালকা রক্তযুক্ত স্রাব নির্গত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন যে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন।
ইতোমধ্যেই উপরে, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়? সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হয়েছে। যদি আপনি গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ জেনে না থাকেন, তাহলে উপর থেকে পড়ে আসতে পারেন।
 

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ সমূহ

গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের যে সকল লক্ষণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ হলো মাসিক মিস হওয়া। অর্থাৎ সর্বশেষ স্বীকৃত শ্রাব হওয়ার পরে যদি আপনি স্বামীর সংসারে যে থাকেন এবং পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ে যদি স্বীকৃত স্রাব না হয় সে ক্ষেত্রে সেক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। সুতরাং গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল মাসিক মিস হওয়া। 

এছাড়াও গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ সমূহের মধ্যে আরেকটি লক্ষণ হল রুচিহীনতা। অর্থাৎ আপনি যদি গর্ভবতী হন সেক্ষেত্রে আপনার খাবারে অরুচি আসবে কোন কিছুই খেতে মন যাবে না মেজাজ খিটখিটে থাকবে এবং সর্বদাই অস্থির অস্থির ভাব থাকবে। 

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাসের লক্ষণ

গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো, স্তনের আকার বৃদ্ধি পাওয়া।  কেননা গর্ভবতী হওয়ার দ্বিতীয় মাসের সাধারণত স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় এবং স্তন নরম হয়। এছাড়াও গর্ভবত দ্বিতীয় মাসের আরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেমন পা ফুলে যাওয়া। অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রে গর্ভধারণের দ্বিতীয় মাসে পা সহ শরীরের নিমনাঙ্গ কিছুটা ফুলে যায়। গর্ভধারণের দ্বিতীয় মাসে কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
আপনি যদি প্রথম থেকে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনেছেন যে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি কি।  কেননা উপরে, গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে উপরে, মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হয়েছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url