৬৯ এর মানে কি | 69 mane | 69 number meaning in bengali
সূচি নির্দেশনা
উপস্থাপনা
কিছু কিছু বিষয়ে মানুষের কিউরিসিটি আসলে অবাক করার মত। যদিও জানার ক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়, তবে অনেক সময় জানার জন্য শিক্ষাও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনলাইনে প্রচুর মানুষ, ৬৯ মানে কি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়।
যেহেতু এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অ্যা*ডাল্ট একটি বিষয়, কারো কারো কাছে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো অস্বস্তিকর হতে পারে। চাইলে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যেতে পারেন। আর একান্তই যদি আপনি জানতে চান যে, 69 mane বা ৬৯ মানে কি? তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন। যদিও ইতিমধ্যেই, ৬৯ মানে কি? এই প্রশ্নের উত্তর সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে তবে নিচে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
৬৯ এর মানে কি | 69 mane | 69 number meaning in bengali
69 mane হলো এমন একটি পজিশান যার মাধ্যমে উভয় উভয়ের গোপন স্থান মুখ দ্বারা স্পর্শ করতে পারে। এই ধরনের যৌ*ন চর্চা পশ্চিম বিশ্বে দেখা যায়। যদিও বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের সয়লাভের কারণে প্রাচ্যেও এই ধরনের নোংরা যৌ*ন চর্চার প্রচলন শুরু হয়েছে।
৬৯ মানে কি? আশা করি তা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এখন কথা হলো: ৬৯ নিয়ে জনমনে এত কিউরিসিটি কেন? আসলে এই ধরনের প্রশ্ন মনে উদ্বেগ হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে প*র্ণ ভিডিও গুলো। এই ধরনের নীল ছবিগুলো এখন সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৬৯ এর মানে | 69 ar mani ki | কবে এর প্রচলন ঘটে
69 mane কি? আশা করি তা জানতে পেরেছেন। এখন প্রশ্ন হল কবে থেকে এর প্রচলন ঘটলো? ওরাল সে*ক্স প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। তাই ঠিক কবে এই ধরনের প্রচলন শুরু হয় তা ইতিহাসে উল্লেখ করা নেই। ধারণা করা হয় প্রাচীন ইজিপশিয়ানদের মাঝে এর প্রচলন ঘটে। কিছু কিছু ঐতিহাসিকের জোরালো দাবি হলো যে প্রাচীন মিশরীয়দের মাঝেই এটি শুরু হয়। প্রমাণ হিসেবে তারা প্রাচীন মিশরীয় ভাস্কর্য সমূহ উপস্থাপন করে থাকে।
আরো পড়ুন: একজন দেশপ্রেমিকের দশটি গুণ
প্রকৃতপক্ষে মিশরীয় যে সকল ভাস্কর্য পাওয়া যায় সেগুলোতে উড়াল সে*ক্সে এর বিভিন্ন চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে হেটেরো*সে*ক্সচুয়াল এবং হোমো*সে*ক্সুয়ালদের ওরাল সে*ক্সের বিভিন্ন চিত্র অঙ্কিত করা আছে। সুতরাং এ কথা অনস্বীকার্য যে, প্রাচীনকাল থেকেই এর প্রচলন চলে আসছে। তবে প্রাচীনকালে এর ব্যাপকতা ছিল না। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এর প্রচলন বেড়ে যায়।
69 এর মানে কি | ইসলাম কি বলে
69 mane কি? আশা করি তার জেনেছেন। কেননা উপরে তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে আপনি ওরাল সে*ক্সের ব্যাপারে ইসলামের মতামত তুলে ধরা হবে। অর্থাৎ ওরাল সে*ক্স কি জায়েজ নাকি জায়েজ নয়? যদি সরাসরি কোন বিষয়কে হারাম অভিহিত করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেই বিষয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের আয়াত অথবা সহি হাদিস থাকতে হবে।
যেহেতু ওরাল সে*ক্সের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে এবং হাদীসে স্পষ্ট কোন বিধান নেই, তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে সমসাময়িক স্কলারদের মতামত দেখতে হবে। নিচে ওরাল সে*ক্সের বিষয়ে বর্তমান স্কলারদের মতামত তুলে ধরা হলো।
কোন কোন ওলামায়ে কেরামের মতে ওরাল সে*ক্স মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে কিছু কিছু ওলামায়ে কেরাম মনে করেন যে ওরাল সে*ক্স সম্পূর্ণরূপে হারাম। নৈতিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি যদি দেখেন, তাহলে দেখতে পাবেন যে এই ধরনের একে অপরের যৌ*নাঙ্গে মুখ লাগানো পশুদের স্বভাব। যা স্বাভাবিকভাবেই পরিত্যাজ্য।
যে সকল ওলামায়ে কেরাম ওরাল সে*ক্স মাকরুহ বা অপছন্দনীয় মনে করেন তাদের মতামত হলো, ওরাল সে*ক্স ততক্ষণ পর্যন্ত মাকরুহ হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা হারামের পর্যায়ে না পৌঁছায়, আর হারামের পর্যায়ে পৌঁছে গেলে তা হারাম হয়ে যাবে। অর্থাৎ স্ত্রী যদি স্বামীর বী*র্য পান করে বা স্বামী যদি স্ত্রীর ভ্যাজাইনাল লিকুইড পান করে তাহলে তা অবশ্যই হারাম হবে।
অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত এই ধরনের সমস্যার সম্ভাবনা থাকবে না, ঠিক ততক্ষণ পর্যন্তই ওরাল সে*ক্স মাকরুহ বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ সকল ওলামায়ে কেরাম এই ব্যাপারে একমতে যে, বী*র্য পান করা বা ভেজাইনের ফ্লুইড পান করা সম্পূর্ণরূপে হারাম এই ধরনের সম্ভাবনা থাকলে অবশ্যই ওরাল সে*ক্স পরিত্যাজ্য।
এছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবে ও প্রমাণিত যে ওরাল সে*ক্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের যৌ*নবাহিত রোগ বালাই অর্থাৎ STD ছড়াতে পারে। বিশেষ করে ওরাল সে*ক্সের মাধ্যমে গলা ব্যথা, গলায় ক্যান্সার হওয়া থেকে শুরু করে গনোরিয়া বা যে কোন ধরনের সে*ক্সুয়াল ডিজিজ হতে পারে। তাই অবশ্যই এই ধরনের বিকৃত মনোভাব এবং বদ অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা একান্ত জরুরী।
উপসংহার
উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, 69 mane কি? কেননা উপরে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে এর প্রচলন কবে ঘটেছে এবং এ বিষয়ে সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।